সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন শাস্তিযোগ্য অপরাধ

Tweet

terrorism Lowমানবাধিকার ডেস্ক:
সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন বা যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করা বা মদদ দেওয়া বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ছাড়াও ২০১২ সালে সংশোধীত সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আওতায়ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া বা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মদদ দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে বলা আছে যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জ্ঞাতসারে অন্যকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ, সেবা, বস্তুগত সহায়তা, বা অন্যকোনো কিছু সরবরাহ করেন বা সরবরাহের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাহলে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসী কাজে সাহায্য করেছেন বলে গণ্য হবেন।
তবে তার এ কাজ বা সাহায্য যদি সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার হয় তবেই তা সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
সন্ত্রাসী কাজে তার অর্থায়নের উদ্দেশ্য ছিল কিনা এটাই মুখ্য। সন্ত্রাস বিরোধী আইন কেবল যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয় তাদের জন্যই নয়, বরং যারা কোনো না কোনোভাবে এর সাথে জড়িত হয় তাদের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য।
আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্যকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে থেকে অর্থ বা অন্য কোনো সেবা বা সাহায্য গ্রহণ করেন তবে সে ব্যক্তিও একইভাবে আইনের আওতায় আনা হবে।
আবার যদি কোনো ব্যক্তি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করার জন্য ব্যবস্থা করেন বা তরান্বীত করেন, তবে তিনিও শাস্তি পাবেন।
সন্ত্রাসী কাজ কেবল নিজেই করলেই যে অপরাধ হবে তা নয়, বরং অন্যকোনো ব্যক্তিকে সাহায্য করার জন্য প্ররোচিত করলেও তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধে অপরাধী হবেন। শাস্তি: এ অপরাদে দোষী সাব্যস্ত হলে সবোর্চ্চ বিশ বছর ও ও কমপক্ষে চার বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে হতে পারেন।
এর ছাড়াও অতিরিক্ত অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পদের তিনগুন মূল্যের সমপরিমাণ বা ১০ লক্ষ টাকা- যেটি বেশি-সেই পরিমান জরিমানাও দিতে বাধ্য হবেন।

Leave a Reply