টানা ৭২ ঘন্টার অবরোধের প্রথম দিনে জেলায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ

Tweet

kajol micil picপ্রেস বিজ্ঞপ্তি :
টানা ৭২ ঘন্টার অবরোধের প্রথম দিনে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজলের নেতৃত্বে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে আবারো দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসে।
মিছিল পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, একটি সরকার যে কত প্রতিহিংসাপরায়ন, নিষ্ঠুর এবং গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে তার বড় প্রমান শেখ হাসিনার সরকার। দেশের মানুষের মুখে গুঞ্জন উঠেছে দুঃশাসনে শেখ মুজিবের ১৯৭২-৭৫ শাসনকালকেও ছাড়িয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এই সরকার অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাংচুর চালিয়ে যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি সরকারের এ ধরনের অবৈধ ঘৃন্য কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার মতলবে বিএনপি’র শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল স্তরের হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা চালু করেছে।
তিনি মামলা-হামলা, দমন-পীড়ন ও কথায় কথায় গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে এই আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না উল্লেখ করে এমপি কাজল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদী ও আন্দোলন মূখী। ইতিপূর্বে অনেকে বাকশাল কায়েম করতে গিয়ে জনগণের তীব্র প্রতিরোধের মুখে বিতাড়িত হয়েছিলেন। এখন সময় এসেছে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকেও বিতাড়িত করার। তিনি সরকারকে কড়া হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাবিত নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। জনগণকে সাথে সে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।
এ সময় তিনি ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘন্টার অবরোধ শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য বিএনপিসহ জোটের নেতা-কর্মীদের আহবান জানান।
পৌর বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল হুদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক সরওয়ার রোমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সুবেদার মেজর (অবঃ) আব্দুল মাবুদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এডঃ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ্, পৌর সহ-সভাপতি এস্তাফিজুর রহমান, জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য সচিব এডঃ বদরুল হুদা ছিদ্দিকী, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা ছিদ্দিকী জামশেদ, পৌর বিএনপি সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ্ হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক নেজাম উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক রাশেদ আবেদীন সবুজ, জেলা যুবদলের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম, ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুল আলম, শহর যুবদল সভাপতি মসউদুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল,,জেলা ছাত্রদলের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জয়, জেলা কৃষক দল সাধারণ সম্পাদক ছব্বির আহমদ সিকদার, শহর বিএনপি নেতা আব্দুল গফুর, নুরুল আলম মাষ্টার, শাহ আলম, মৌলানা নুরুল আলম, মফিজুর রহমান, আমিন উল্লাহ্, কামাল উদ্দিন, ফকির আহমদ, এস.এম ছোবহান, আবছার কামাল বাদশা, রুহুল আমিন, বোরহান উদ্দিন রানা, হাবিব উল্লাহ্, মাহফুজ, ছোট মিয়া, শহর যুবদল সহ-সভাপতি রকিবুল হুদা রাব্বি, হারুনূর রশীদ, আইন কলেজ ছাত্রদল সভাপতি মনির উদ্দিন, শহর ছাত্রদল সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, বিএনপি নেতা সাইফুল্লাহ্ নূর, জেলা যুবদল নেতা দোলন ধর, নূর উদ্দিন কোম্পানী, আব্দু রহিম বাবুল, যুবদল নেতা কুতুব উদ্দিন, মাহমুদুল হক, জসিম সিকদার, মোস্তাক আহমদ, সিটি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি জাহেদুল ইলাম রিটন, সরকারী কলেজ সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান নয়ন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার হোসেন টিপু, রফিকুল ইসলাম, শহর ছাত্রদল সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, হোসাইন ইসলাম বাহাদুর, শাহাদত হোসেন রিপন, আলী রেজা তসলিম, যুগ্ম-সম্পাদক কানন বড়–য়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেকুর রহমান, সরকারী কলেজ সাংগঠনিক শাহীনুল কাদের লিমন, সিটি কলেজ সাংগঠনিক ফারুখ আজম, শহর ছাত্রদল নেতা সাইরুল্লাহ্ রুবেল, আব্দুল কাদের, তাজুল ইসলাম রাজু, এহছানুল হক, খুরুশকুল ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মোহাহের হোসেন, শহর যুবদল নেতা, মোহাম্মদ হানিফ, সরওয়ার খান, আবুল ফজল, জাহাঙ্গীর আলম, ওমর ফারুখ, মেজবাহ্ উদ্দিন, শাহীন আলম, মাহামুদুল হক পুতু, জাহেদ, মিজান, রাফায়েত হোসেন, মোহাম্মদ সজীব আলী, হাসেম, সাইফুল ইসলাম লিটন, আব্দুল গফুর, আবছার কামাল, আবদুল বাতেন, আরিফ, ফারুখ, ফয়সাল, ছোটন, ইউসূফ, সাইফুল, কাদের, শিবলু মিজান, পলিটেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রদল নেতা শাখাওয়াত হোসেন, মিজান, ছাত্রদল নেতা, আরফাত উদ্দিন খোকন, মিজানুর রহমান, রাশেদুল করিম, আবদুল্লাহ্ আল আমিন, মোহাম্মদ উল্লাহ্, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ইনজামামুল হক, আবু নাসের, সিফাত, নেজাম উদ্দিন, রাসেল, আলমগীর, গিয়াস, জুয়েল, সাগর, রিয়াদ মাহ্মুদ মিশু, ফয়সাল, সাদ্দাম, রিপন, সোহেল, রাশেদ, শাহীন, শুক্কুর, মিথুন, পারভেজ, রুহুল আমিন বাদশা।
বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের অবরোধ:-
৭২ ঘণ্টা হরতালের প্রথমদিনে কক্্সবাজার শহরের ১২টি স্পটে সকাল থেকে রাজপথে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে কক্্সবাজার শহর জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা। শহরের ফজল  মার্কেটস্থ প্রধান সড়কে সকাল ৮-১২ টা পর্যন্ত শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরীর নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ করে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।  জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা রাস্তায় টায়ারে আগুন দিয়ে পুলিশী হামলা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শহর শিবির সভাপতি আনম হারুণ, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল আলম, সহ-সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল ফারুক, শহর শিবির সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম নোমান, শিবিরনেতা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, শহর জামায়াতের অর্থ সম্পাদক নুরুল আমিন, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ মহসিন, জাফর সাদেকসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও শহরের লিংক রোড, জানারঘোনা, বাস টার্মিনাল, আলির জাঁহাল, বিডিআর ক্যাম্পসহ ১২টি স্থানে অবরোধ পালিত হয়।
উখিয়া উপজেলা :-উপজেলা আঠার দলীয় জোটের উদ্যোগে অবরোধের সমর্থনে বাদ মাগরিব কোটবাজার স্টেশনে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল ফজল ও বিএনপিনেতা সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি টেকনাফ-কক্্সবাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল ফজলের সভাপতিত্বে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরীসহ স্থানীয় আঠারদলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া উপজেলার অন্যান্য স্থানে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের দিন পালিত হয়।
ঈদগাঁও :-ঈদগাঁও থানা শাখার উদ্যোগে মেহেরঘোনা ও নতুন অফিস এলাকায় চট্রগ্রাম-কক্্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা। এ সময় রাস্তায় কোন ধরণের যান চলাচল করেনি। অবরোধকারী বিভিন্ন শ্লোগান আর বক্তব্যের মাধ্যমে অবরোধের প্রথমদিন অতিবাহিত করে।
চকরিয়া উপজেলা :-উপজেলার হারবাং এলাকার কক্্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিবির নেতা নুর মুহাম্মদ রকি ও জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে সকাল থেকে অবরোধ পালন করে।
এছাড়াও উপজেলার পৌরসভা, ভাঙ্গারমুখ, ইসলামনগরসহ বিভিন্নস্থানে অবরোধ পালন করে স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা।
পুলিশী তল্লাশীর নিন্দা জেলা জামায়াতের:-
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশি, ভাংচুর ও বিএনপি নেতাকে গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কক্্সবাজার জেলা আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান, নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি জিএম রহীমুল্লাহ।

Leave a Reply