টেকনাফ স্থল বন্দরে সাড়ে ১০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়
রাজনৈতিক সহিংসতার পরও নভেম্বর মাসে
আবদুল্লাহ মনির, টেকনাফ:
টেকনাফ স্থল বন্দরে নভেম্বর মাসে সাড়ে ১০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। বর্তমানে রাজনৈতিক সহিংসতার মাঝেও মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি হওয়ায় এ মাসে রাজস্ব আদায় বেশী হয়েছে। তবে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা না থাকলে রাজস্ব আদায় আরো অনেক গুন বেড়ে যেত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কাষ্টসম সূত্রে জানান, ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের নভেম্বর মাসে ২৪২টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৭ হাজার ৭১০ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। যার ফলে মিয়ানমার থেকে ৩০ কোটি ৪৫ লাখ ১৬ হাজার ৯৮৫ টাকার পন্য আমদানি করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক টেকনাফ স্থল বন্দরে ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। নানা প্রতিকূলতার পরও মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১০ টাকা রাজস্ব আদায় বেশী হয়েছে।
অপরদিকে ৫৭টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে মিয়ানমারে ১ কোটি ৭০ লাখ ১০ হাজার ৯৮৫ টাকার পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতায় টানা হরতাল ও অবরোধের কারনে দেশীয় পন্য আসতে না পারায় অনেক পন্য রপ্তানী করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন রপ্তানী কারকরা।
স্থল বন্দর ব্যবসায়ীরা জানান, নভেম্বর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় হরতাল ও অবরোধসহ কাঠ বোঝায় ট্রলার আটকের ঘটনা ঘটেছে। এত কিছুর পরও মিয়ানমার পণ্য আমদানি হওয়ায় মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুন রাজস্ব আদায় হয়েছে। গোটা মাসে টানা হরতাল ও অবরোধ না থাকলে বন্দরে আরো বেশী পন্য আমদানী ও রপ্তানী হত বলে মনে করছেন।
অপরদিকে মিয়ানমার সমস্যা, রাজনৈতিক সহিংসতায় সীমান্ত বানিজ্য ব্যবসায় আবারো মন্ডাভাব নেমে আসার আশংকা করছেন তারা।
টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, গত নভেম্বর মাসে মিয়ানমার পন্য আমদানীর ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে এ মাসে পেয়াঁজ, শুটকি, শুপারী ও আচার বেশী আমদানী হওয়ায় রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়। তবে রাজনৈতিক সহিংসতা না থাকলে আগামী মাস থেকে আরো বেশী রাজস্ব আদায় হবে এবং আগের অবস্থা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।