কুতুবদিয়ায় কিরার বাম্পার ফলন
হাছান কুতুবী, কুতুবদিয়া:
কুতুবদিয়ায় মৌসুমী কিরার (শসা) বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানিয় চাহিদার চেয়ে বেশী উৎপাদন হওয়ায় প্রতিদিন হাজার-হাজার মণ কিরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরবরাহ হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও এ সমস্ত কিরা সাগর পথে নৌকাযোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায়। কিন্তু লাগাতার হরতাল-অবরোধের কারণে কিরার ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ পোষাতে হিমশিম খাচ্ছে বলে চাষিরা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আলী আকবর ডেইল, বড়ঘোপ, কৈয়ারবিল ও দক্ষিণ ধূরুংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে কিরার ক্ষেত করেছে চাষিরা। তৎমধ্যে আলী আকবর ডেইল এলাকায় বেশী ফলন হয়েছে। তাছাড়া টমেটো, মূলা, বেগুনসহ অন্যান্য শীতকালিন শাক-সবজির ফলনও ভালো হয়েছে। কুতুবদিয়ার মাটি কিরা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় ফলন যেমনি ভালো তেমনিভাবে খেতেও অত্যন্ত সুস্বাধু বলে বিশেষজ্ঞ মতামতে জানা গেছে।
প্রতিদিন সকালে প্রত্যন্ত এলাকার চাষিরা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বড়ঘোপ মগডেইল রোডের মাথায় বিক্রির জন্য হাজার-হাজার মণ কিরা মওজুদ করে। ইতোমধ্যে ওই স্থানটি কিরার হাট বলে পরিচিতি লাভ করেছে। স্থানিয় ও বহিরাগত পাইকারী ব্যবসায়িরা প্রতি বস্তা কিরা ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা করে কিনে নেয়। বেশ কয়েকজন পাইকার এখান থেকে প্রতিদিন অন্তত: ৩/৪ হাজার মণ কিরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছে বলে জানিয়েছেন, কুতুবদিয়ার একমাত্র পত্রিকার এজেন্ট মোয়াজ্জেম হোছাইনসহ আরো অনেকে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ধোলাই খরচ বেশী যাওয়ায় লাভের মুখ তেমন দেখছেনা বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট পাইকার ইজ্জত আলী মাতবর।
এদিকে চাষিরা আরো অভিযোগ করেন, ডিলারের মাধ্যমে সরবরাহকৃত ইউরিয়া সার চাহিদা না মিটায় বাইর থেকে চড়া দামে সার কিনতে হচ্ছে।