ডিম নিয়ে ৬ টি কার্যকরী ও মজাদার টিপস

Tweet

women eggলাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রায় সব বাড়িতেই প্রতিদিন ডিম খাওয়া হয় সকালের নাস্তায় কিংবা তরকারিতে। আমিষের উত্কৃষ্ট এই উত্সটির নানাবিধ রান্না যেমন সহজ, তেমনি সময়ও লাগে কম। গবেষনায় পাওয়া গেছে- একটি মোটামুটি বড় আকারের মুরগীর ডিমে রয়েছে ৭২ কিলোক্যালরি, ৬৩ গ্রাম প্রোটিন,ফ্যাট ৪.৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট .৩৬ গ্রাম,কোলেস্টেরল ১৮৬ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি ১, বি১২, ডি,এ এবং ই।
অথচ এর পুষ্টিগুণ নানা কারণে কমে যেতে পারে কিংবা যথাযথ সংরক্ষনের অভাবে হারিয়ে ফেলতে পারে উপযোগিতা।

আসুন জেনে রাখি ডিম সম্পর্কে মজাদার কয়েকটি টিপসঃ

১.বাজার থেকে ডিম কিনে আনবার পর খোলসের গায়ে লেগে থাকা ময়লা অবশ্যই পরিষ্কার করে নেয়া উচিত। পানিতে ডিটারজেন্ট গুলিয়ে তাতে চুবিয়েই ধুয়ে ফেলুন। কেননা খোলসের গায়ে লেগে থাকা বিষ্ঠায় থাকে প্রচুর পরিমানে সালমোনেলা আর এই ব্যাকটেরিয়া টাইফয়েড সহ নানা অসুখের জন্য দায়ী।

২.রেফ্রিজারেটরে ডিম সবসময় ডিম রাখার নির্দিষ্ট খাঁজে রাখতে হবে,কারণ ডিম অন্য খাদ্যের/বস্তুর গন্ধ শোষণ করতে পারে। যেমন ধরুন আপনি সাবানের সাথে ডিম রাখলেন, ডিম রান্নার পর তা থেকে সাবানের গন্ধ ছড়াবে।

৩ .ফ্রিজে ডিম রাখবার সময় ভারী অংশটি নিম্নমুখী করে রাখুন। এরফলে কুসুম উপরের দিকে উঠে আসবে এবং খোলসের গায়ে আটকে না থাকায় নিরাপদে থাকবে।

৪ .যদি কোন রেসিপির জন্য ডিমের সাদা অংশটুকুর প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে কুসুমগুলো ফ্রিজে সংরক্ষনের পূর্বে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। নতুবা কুসুম ফ্রিজে রাখলে তার উপরে একটা শক্ত আস্তরণ সৃষ্টি হবে।

৫.বাজার থেকে আনার সময় অসাবধানতাবশত ডিম ফেটে যেতে পারে। তখন একটি বাটি বা কাচের জারে ভাঙা ডিমগুলো ফেটে প্রতি ডিমের জন্য চার চামচের এক চর্তুথাংশ লবণ বা চিনি মিশিয়ে শক্ত ভাবে ঢাকনা লাগিয়ে ফ্রিজে রাখুন। লবন অথবা চিনি ডিমকে ভালো রাখবে ও জমাট বাঁধতে দেবেনা।

৬.ডিমের খোসা না ফেলে প্লাস্টিকের ব্যাগে জমিয়ে রাখুন। বেশ কিছু খোসা জমা হলে আধবালতি পরিষ্কার পানিতে খোসাগুলো সারাদিন ভিজিয়ে রাখুন। এ পানি আপনার টবে বা গাছের গোড়ায় ঢালুন। এটা উত্তম সার,বিশেষত গোলাপ গাছের জন্য।

Leave a Reply