চট্টগ্রামে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

Tweet

দৈনন্দিন ডেস্ক:
৮৪ ঘণ্টা হরতালের প্রথম প্রহরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে হরতালকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে  নগরীর এ কে খান গেইট, কর্নেলহাট, অলংকার মোড়, সাগরিকা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ জন গুলিবিদ্ধ বলে দাবি করেছেন নগর যুবদল নেতা মোশাররফ হোসেন দিপ্তী। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে। এ সময় ইস্পাহানি গেইটে পিকেটাররা রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ কে খান মোড়ে হরতালকারীরা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দিলে নেতামকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ও টিয়ারসেল মারে। একই সময়ে পুলিশ-র্যা ব-বিজিবির সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায়।
সংঘর্ষ এক পর্যায়ে অলংকার মোড়, সাগরিকা, হালিশহর, কর্নেলহাটসহ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ যুবদল নেতা ফেরদৌস, সাদ্দাম, নূরুন্নবী টিপু, রিপন, আমজাদসহ ১৫/২০ জনকে আটক করে। যুবদল নেতা দিপ্তী জানান, পুলিশ-র্যা ব সরাসরি পিকেটারদের মিছিল লক্ষ্য করে গুলি করে। পিকেটারদের বেধড়ক মারধর করে। অনবরত সেভাবে গুলি করা হয়েছে তাতে ধারণা করা যায়, কয়েকশত রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ছত্রছায়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারেরাও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
হরতালের শুরুত নগরী ও জেলাতে পুলিশ বিজিবির টহল চলছে। হরতালের ভোর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল সমাবেশ করছে নেতাকর্মীরা। সকাল ৭টার দিকে নাসিমনভনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, গোলাম আকবর খোন্দকার ও ডা. শাহদাতের নেতৃত্বে মিছিল বের করে। মিছিল জুবলী রোড, এনায়েত বাজার, নিউ মার্কেট রিয়াজুদ্দিন বাজার, স্টেশন রোড প্রদক্ষিণ করে কদমতলী গিয়ে শেষ হয়।
হরতালে সব ধরনের যানবাহন, অফিস আদালত স্কুল কলেজ বন্ধ রয়েছে। তবে বেসরকারি কিছু ব্যাংক খোলা থাকলেও সেগুলেতে লেনদেন হচ্ছে না। হরতালের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নগরী ও জেলায় প্রায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

Leave a Reply