আর নয় যৌতুক

Tweet

joutukআইন ও মানবাধিকার ডেস্ক:
বিয়ে আর যৌতুক যেনো মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। প্রতি বছর যৌতুকের কারণে নানাধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন দেশের অসংখ্য নারী।
আইনানুযায়ী যৌতুক বলতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রদত্ত যেকোনো সম্পত্তি বা মূল্যবান জামানতকেও বোঝানো হয়। এ ধরনের সম্পত্তি বা জামানত বিয়ের একপক্ষ অন্যপক্ষকে দিয়ে থাকে। বিয়ের সাথে সরাসরি যুক্ত কোনো ব্যক্তিকে এরকম কিছু দান করাও যৌতুক হিসেবে বিবেচিত। এ ধরনের আদান-প্রদান বিয়ের সময়, বিয়ের আগে বা পরেও হতে পারে। আবার কেবল প্রদান করলেই যে হবে তা নয়, প্রদানের জন্য অঙ্গীকার করলে তাও যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে।
তবে যৌতুক বলতে মুসলিম আইনের দেনমোহর বা মোহরানাকে বোঝায় না। আইনানুযায়ী বিয়ের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত না এমন কোনো ব্যক্তি যদি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা উপহার প্রদান করে তবে তা যৌতুক বলে গণ্য হবে না।
কেউ যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলে বা সে কাজে সাহায্য করলেও তিনি সর্বাধিক পাঁচ বছর ও সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। সেই সাথে জরিমানাও হতে পারে। অপরাধ হতে হলে, যৌতুক যে গ্রহণ করতেই হবে এমন না যৌতুক দাবী করলেও তার একই শাস্তি হতে পারে। সে যৌতুক আদায় হোক বা না হোক।
যৌতুকের বিচার করবে প্রথম শ্রেণির মেজিস্ট্রেটের আদালত। যৌতুকের অপরাধ হয়ে থাকলে এক বছরের মধ্যে আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। আদালতে মামলা দায়ের হলে আদালত অভিযুক্তকে জামিন দেননা। কারণ, যৌতুকের অপরাধ জামিন যোগ্য না। তবে ঊভয়পক্ষ চাইলে তার মামলা আপোস করতে পারে।

Leave a Reply