মাইনাস ৫২ ডিগ্রি! অচল আমেরিকা

Tweet

usa iceদৈনন্দিন ডেস্ক:
গত দু দশকে এইরকম দুর্দশা দেখেনি আমেরিকার দুটো প্রজন্ম। গোটা আমেরিকাই এখন অ্যান্টার্কটিকার চেহারা নিয়েছে। প্রবল তুষারপাত, ঝোড়ো হাওয়া। সূর্যের মুখ দেখা যায়নি বহু দিন। তাপমাত্রা মাইনাস ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এখন বলা হচ্ছে, একবিংশ শতকের মধ্যে রেকর্ড গড়ল মঙ্গলবার। এরকম ভয়াবহ ঠাণ্ডা এর আগে দেখেনি মার্কিন মুলুক। প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘোষণা করে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করার দাবি উঠেছে। রেল, বিমান, সড়ক পরিবহণ পুরোপুরি স্তব্ধ। স্তব্ধ গোটা আমেরিকা। তুষারপাতে ভারি হয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে রয়েছে জাতীয় পতাকা স্টারস্ অ্যান্ড স্ট্রাইপস।
কার্যত গোটা আমেরিকা, কানাডা এখন বরফের মরুভূমি। উত্তর পূর্ব আমেরিকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানকার সঙ্গে আক্ষরিক অর্থেই আলাস্কা বা আইসল্যান্ডের এখন কোনো ফারাক নেই।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের ভাষায়, গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে ব্লকবাস্টার হলিউডি ছবি ‘দি ডে আফটার টুম্রো’-এর মতোই হুবহু এক আবহাওয়া ও পরিস্থিতি এখন আমেরিকা জুড়ে। যেন সিনেমাটাই জলজ্যান্ত বাস্তব হয়ে গিয়েছে।
গত ৪৮ ঘণ্টায় তিন হাজার বিমান বাতিল হয়েছে আমেরিকায়। আগামী তিন দিনে আরও সাড়ে তিন হাজার উড়ান বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সর্বত্র বিদ্যুতের চাহিদা চরমে। সব স্কুল,কলেজ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, গবেষণাগার বন্ধ। লাটে উঠেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুই সরকারি প্রতিষ্ঠান নাসা এবং পেন্টাগনের কাজও। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখা হয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীকে। সব হাসপাতালের জরুরি বিভাগকেগুলিকে রাত দিন সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
২০০৯ সালের ১৬ জানুয়ারির ভয়াবহ হিমশীতলতার রেকর্ড টপকে এখন নতুন রেকর্ডের অপেক্ষায় আমেরিকা। সঙ্গে মৃত্যুর হাতছানি। বহু বাসিন্দা জরুরি ভিত্তিতে ৯১১ নম্বরে ফোন করে জানাচ্ছেন, যেকোনো মুহূর্তে তারা মারা যেতে পারেন। এই তাপমাত্রায় জমে যাচ্ছেন। কোনো বিশেষণেই বর্ণনা করা যায় না -৫২ ডিগ্রিকে। তাই মার্কিনীদের কাছে চ্যালেঞ্জ একটাই, যেকোনো ভাবেই হোক বেঁচে থাকতে হবে। সূত্র: সংবাদ সংস্থা।

Leave a Reply