উখিয়া-টেকনাফ সংসদীয় আসনে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন

Tweet

কমরুদ্দিন মুকুল, উখিয়া :
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন-৪, উখিয়া-টেকনাফে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে উপজেলা নির্বাচন কমিশন।
এরই ধারাবাহিকতায় উখিয়া উপজেলার জন্য ৭৩৪ জন ও টেকনাফ উপজেলার জন্য ৯৪৫ জন প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগের চুড়ান্ত তালিকা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন নির্বাচন কমিশন বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
জানা গেছে, নির্বাচনী এলাকা উখিয়ায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৬ হাজার ৪৪৫ জন, তৎমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৩,১৬৪ জন ও মহিলা ভোটার ৫৩,২৮১ জন। ইউনিয়ন ওয়ারী ভোটার সংখ্যা নিরুপন করতে গিয়ে দেখা যায়, ৭টি ভোট কেন্দ্র ও ৪৬টি ভোট কক্ষ নিয়ে গঠিত জালিয়াপালং নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা ২২,৯০৮ জন। তৎমধ্যে পুরুষ ১১,৩৩৮ ও মহিলা ভোটার ১১,৫৭০ জন। ৩টি ভোট কেন্দ্র ও ২৬টি ভোট কক্ষ নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা রতœাপালং ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১৩,৬৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬,৭৬০ ও মহিলা ভোটার ৬,৮৮৭ জন। ৯টি ভোট কেন্দ্র ও ৪৭টি ভোট কক্ষ নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা হলদিয়াপালং ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪,৮০৩ জন। তৎমধ্যে পুরুষ ভোটার ১২,৩৮১ ও মহিলা ভোটার ১২,৪২২ জন। ১৩টি ভোট কেন্দ্র ও ৬১টি ভোট কক্ষ নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা রাজাপালং ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৩০,২৮৭ জন। তৎমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫,৩১০ জন ও মহিলা ভোটার ১৪,৯৯৭ জন। ৫টি ভোট কেন্দ্র ও ৩০টি ভোট কক্ষ নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা পালংখালী ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১৪,৮০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭,৩৭৫ জন ও মহিলা ভোটার ৭,৪২৫ জন। এখানে ৩৭টি কেন্দ্রে মোট গ্রহণের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৭৩৪ জন। তৎমধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার ৪১ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ২৩১ জন ও পোলিং অফিসার ৪৬২ জন।
সংসদীয় আসনের অপর উপজেলা টেকনাফ নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৬৯ জন। তৎমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬২,৩৪৫ জন ও মহিলা ভোটার ৬৪,৩২৪ জন। এ উপজেলায় ৪৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৮৪০ জন। তৎমধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার ৫২, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ২৯০ ও পোলিং অফিসার ৫৯৮ জন।
উখিয়া নির্বাচন অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: নুরুল ইসলাম জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুসারে এলাকায় ইতিপূর্বে প্রার্থীরা বা তাদের নেতা-কর্মীদের কর্তৃক যে সমস্ত পোষ্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে, তা ইতিমধ্যে অপসারন করে নির্বাচনী পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পরবর্তী নির্দেশ ব্যতিরেখে ইতিমধ্যে জারিকৃত নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় নির্দেশ পালনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

Leave a Reply