নাটকীয় জয়ে সিরিজ পাকিস্তানের

Tweet

CRICKET-RSA-PAK-ODIস্পোর্টস ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার ৫০০তম ম্যাচ আর ডেইল স্টেইনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং নৈপুণ্য ম্লান করে জয় ছিনিয়ে নিলো পাকিস্তান। বুধবার পোর্ট এলিজাবেথের সেইন্ট জর্জ স্টেডিয়ামে পাকিস্তান শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় মাত্র ১ রানে জয় পায়। তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থকিতেই জিতে গেল পাকিস্তান। সিরিজের প্রথমটিতেও জিতেছিল সফরকারিরা। বৃষ্টির কারণে ৪৫ ওভারে সীমিত এ ম্যাচে পাকিস্তানের ২৬২ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেট হাতে থাকলেও ২৬১ রান তুলতে সক্ষম হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় যখন প্রায় নিশ্চিত তখন সাঈদ আজমলের এক ওভার তাদের চেপে ধরে। ৪৪তম ওভার করেন তিনি। স্বাগতিকদের জয়ের জন্য চাই ১২ বলে ১১ রান। হাতে ৬ উইকেট। ৩ রানের জন্য শতকের সামনে দাঁড়িয়ে হাশিম আমলা। কিন্তু প্রথমে আমলা ১ রান নিলেন। এরপর ১ রান নিলেন ডুমিনি। কি কঠিন বল! শেষ বলে ধৈর্য হারিয়ে ছক্কা মারতে গেলেন আমলা। লাভ হলো না। বল উড়ে চলে গেল মোহাম্মদ হাফিজের হাতে। এরপরও সুযোগ ছিল। শেষ ওভারে দরকার ৯ রান। বোলার এলেন জুনাইদ খান। ডুমিনির সঙ্গে নামেন মিলার। তার প্রথম বলে ১ রান করেন মিলার। পরের বলে ডুমিনি পুল করেন। বল মিড উইকেটে গিয়ে জমা পড়ে আনোয়ার আলীর হাতে। ৪ বলে চাই ৮ রান। ক্রিজে দুজনই নতুন। মিলারের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান ম্যাকলারেন। মিলারকে দারুণ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বল করেন জুনাইদ। প্রথম বল মিস। পরের বল পায়ে লেগে ১ রান নেন। এবার ম্যাকলারেনের পালা। ২ বলে চাই ৭ রান। মিরার আবার পয়ে লাগিয়ে এক রান নেন। শেষ বলে চাই ৬ রান। কিন্তু জুনাইদের ফুল লেন্থের বল কোন মতে পায়ে লাগান মিলার। বল গড়িয়ে মাঠের বাইরে যেতে থাকলো। কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ ছিল না পাকিস্তানি ফিল।ডারদের। কারণ চার হলেও লাভ নেই প্রোটিয়াদের। পাকিস্তানি শিবিরে আনন্দের বন্য। কোলাকুলি চলে একে অন্যে। এই ১ রানের জয়ে সিরিজ হারের প্রতিশোধও নেয়া হয়ে যায়। এ মাসেই আরব আমিরাতের মাটিতে পাকিস্তানকে সিরিজ হারায় ৪-১এ। মজার ব্যাপার হলো ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচেও পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছিল মাত্র ১ রানে। সেদিনও পাকিস্তান ১০ রানে হারিয়েছিল ৬ উইকেট।

পাকিস্তানের পক্ষে আহমেদ শেহজাদ ১০২ রান করে দলকে শক্ত ভিত এনে দিয়েছিলেন। আর হাশিম আমলা আউট হন ৯৮ রানে। এবি ডি ভিলিয়ার্স আউট হন ৭৪ রানে। আমলা ১৩১ বলে এ রান করলেও ভিলিয়ার্স মাত্র ৪৫ বলে এ রান করেন। পাকিস্তানের জুনাইদ খান ৩টি, আফ্রিদি ২টি ও সাঈদ আজমল ১টি উইকেটই নেন।

Leave a Reply