পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ কেটে লবনাক্ত পানি ঢুকানোর চেষ্টা

Tweet

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় পাউবোর নিয়ন্ত্রনাধীন বেড়িবাঁধ কাটার হিড়িক পড়েছে। ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন চিংড়ি ঘেরে লবনাক্ত পানি ঢুকানোর জন্য সরকারী বেড়িবাঁধ কাটা হচ্ছে। জনস্বার্থ কিংবা ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে বেড়িবাঁধ এর শিরা,স্লোব কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া ভোলাখাল পয়েন্টে যে সমস্ত স্থানে সম্প্রতি বেড়িবাঁধ কাটা হচ্ছে তাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অনুমতি ছাড়াই সরকারী সম্পদ গর্ত করা হচ্ছে। কতিপয় এক শ্রেনীর প্রভাবশালী স্বার্থন্বেষী মহল গায়ের জোরে জনস্বার্থ বিঘœ ঘটিয়ে বেড়িবাঁধের এক কিলোমিটারের ভিতর অন্তত ১০/১২টি স্থানে হরদম ভাবে কাটানো হচ্ছে বেড়িবাঁধ। তবে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও বেড়িবাঁধ কাটতে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ ও বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল স্থানীয় গুটি কয়েক নেতাদের মধ্যে হয়েছে ঐক্যমত। এসব স্থান দিয়ে নদীর অববাহিকার লবণ পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে বিপুল এলাকা বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে প্রতিনিয়ত বেড়িবাঁধ গর্ত করার ফলে বেড়িবাঁধের আশেপাশে আশ্রয় নেওয়া ভুমিহীন ছিন্নমুল পরিবারগুলো পড়েছে অস্থিত্ব হুমকিতে। এদিকে পেকুয়ার ছিরাদিয়া পয়েন্টে ৬৬/২বি পোল্ডারের বেড়িবাঁধের একাধিক স্থানে কেটে পানি ঢুকানোর বিরুদ্ধে ফুসে উটেছে এলাকার চাষীসহ সাধারন মানুষ। এনিয়ে ছিন্নমুল পরিবারের পক্ষে ছিরাদিয়া এলাকার মোস্তাক আহমদের স্ত্রী দিলুয়ারা বেগম বাদি হয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে গত ১২ জানুয়ারী পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগসুত্রে জানা যায় ছিরাদিয়ার এলাকার মৃত তৈয়মগুলালের পুত্র স্থানীয় যুবদল নেতা মনির উদ্দিন, বাদশাহ মিয়ার পুত্র আব্দু রশিদ, নুরুল হকের পুত্র মোঃ কবির, ছৈয়দুল হকের পুত্র জামাল উদ্দিন ও ছমদ মিয়ার পুত্র মোঃ আলমের নেতৃত্ব লোকজন সম্প্রতি ওই মহিলার বাড়ি ঘেষে বেড়িবাঁধ কেটে পানি চলাচলের নাশি বসানোর কাজ শুরু করে। এতে ওই অসহায় পরিবার উচ্ছেদ হওয়ার আশংকায় এ স্থানে মাটি কাটতে নিষেধ করলে তারা ওই মহিলাকে কোদাল ও লাঠিদিয়ে নির্দয় পিঠিয়ে আহত করে।
এদিকে দিলুয়ারার বসত বাড়ির উপর পরিকল্পিতভাবে প্রশস্থ ও গভীর নালা তৈরী করায় তার ১৫/২০ বছরের স্থায়ী বসত বাড়িটি কার্যত ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন চিংড়ি প্রজেক্টে পানি নিষ্কাশনের জন্য আগে থেকে সরকারী স্লুইচ গেইট ও পল বোট বসানো রয়েছে। তাছাড়া বেড়িবাঁধের বিস্তৃত জায়গা বিদ্যামান থাকলেও অহেতুক ওই পরিবারের মাথা গোজার ঠাঁইটুকু নিশ্চিহ্ন করতে প্রভাবশালীরা এ কাজ চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের এরিয়া কর্মকর্তা(এস ও)মাসুদুর রাব্বি এ ব্যাপারে তাদেরকে কেউ অবহিত করনেনি। তবে কারো ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে সরকারী সম্পদ বিনষ্ট করলে এর দায়ী তাদেরকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন। পেকুয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Leave a Reply