সরকারি ভবনে মাদক সেবীদের আস্তানা

Tweet

DSC07341আরফাতুল মজিদ:
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন এখন মাদকের আখড়া পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবনকারীরা নিয়মিত সরকারি এই ভবন ব্যবহার করছে। দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে পরিত্যক্ত থাকায় ভবনটি এখন মাদক সেবীদের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে গড়ে উঠেছে। ভবনটির দরজা-জানালা অকেজো হয়ে পড়ায় দিনের বেলায়ও কাজে লাগাছে মাদক সেবীরা। তবে মাঝে মধ্যে পুলিশ কয়েক জনকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
জানা যায়, কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ার ছড়াস্থ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয়ের গেইটের ভিতরে ঢুকে এক তলা বিশিষ্ট একটি ভবন রয়েছে। এক তলা বিশিষ্ট এই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবীদের দখলে রয়েছে। প্রায় ৫/৬ বছর আগে ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। নতুন ভবন নির্মাণ করার পর পুরাতন ভবনটি খালি পড়ে আছে। নতুন ভবনে অফিসের কার্যক্রম চলার পর থেকে মাদকসেবীরা নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে পুরাতন ভবনটি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক দোকানদার জানিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভবনটিতে মাদক সেবীদের আনা গোনা বাড়ে। কার্যালয়ের চারপাশে বাউন্ডারি থাকার পরও মাদক ব্যবহারকারীরা কৌশলে ভেততে প্রবেশ করে। দীর্ঘদন ধরে তারা সরকারি এই ভবনটি ব্যবহার করে আসছে। বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল চুরি করে ওখানে ভাগবাটোয়ারাও করে থাকে। বর্তমানে সরকারি এই ভবনটি তারা নিরাপদ মাদকে আস্তানা হিসেবে গড়ে তুলেছে। এছাড়া দিনের বেলায়ও তাদের বিচরণ থাকে। মূল ভবনের পাশে আরেকটি দু’তলা ভবন আছে। সেটিও দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকায় কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সেখানে অবস্থান করে না। বর্তমানে ভবনটিতে রাখা হয়েছে অফিসের পুরানো জিনিসপত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা পরিত্যক্ত ওই ভবনে মাদকসেবীদের আনাগোনার কথা স্বীকার করে জানান, ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় গত ৫/৬ বছর আগে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন ভবনে অফিসের কার্যক্রম চালু করায় পুরাতন ভবনটি খালি পড়ে আছে। তবে পরিত্যক্ত এই ভবন সংস্কার করে টেনিং সেন্টার করার পরিকল্পনা রয়েছে। যখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাস হবে তখন টেনিং সেন্টার করা যেতে পারে। এখন পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত থাকায় মাদকসেবীরা রাতে ভবনটিতে ঢুকে পড়ে। তবে মাঝে মধ্যে পুলিশ এসে কয়েক জনকে ধরে নিয়ে যায়।

Leave a Reply