শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য কিছু টিপস্‌

Tweet

Foods Homens-Healthলাইফস্টাইল ডেস্ক:
শীতকাল আসলেই ঠাণ্ডা লাগা সর্দি-কাশি হওয়া বেড়ে যায়। কিন্তু একটু সচেতন থাকলে এই ঠাণ্ডা লাগা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
আসুন জেনে নেয় টিপস্‌ গুলি -
# শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রতিদিন উষ্ণ গরম পানি বা যেকোন গরম পানীয় (চা/কফি/স্যুপ/দুধ) খাওয়া ভাল। তাতে শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং বাইরের ঠাণ্ডা বাতাস কম ক্ষতি করে।
# শীতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২চা চামচ মধু খেতে পারেন যা ঠান্ডা লাগার অনেকটা প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।
# বেশী শীতে শুধু একটা ভারী কাপড় না পরে, একাধিক পোশাক পরিধার করুন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারী হলো হালকা কোন কাপড় যা শরীরের সাথে লেগে থাকে এমন কিছু নিচে পরা, তার উপরে কয়েক লেয়ার -এ ফুল অন্যান্য জামা-কাপড় পরা। এটা বেশি ঠান্ডায় সবচেয়ে কার্যকরী।
# প্রতিদিন কিছু পরিমাণ কালজিরা রান্না করে বা রান্না ছাড়া খেতে পারেন। কালজিরা প্রায় ৩০০ রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
# শীতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি ঠাণ্ডা লাগার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
# প্রতিদিন খাবারে রসুন ব্যবহার করুন। কারণ কাঁচা রসুন ঠাণ্ডা লাগা কমায়।
# ঠাণ্ডা লাগলে বা কাশি হলে আদা ও লবঙ্গ অত্যন্ত কার্যকরি। আদা ও লবঙ্গের রস ঠাণ্ডা কাশি কমাতে সহায়ক। আদা ও লবঙ্গ দিয়ে চা খুবই কার্যকর।
# শীতের সকালে-বিকালে নাক বন্ধ বন্ধ মনে হলে নাকে গরম পানির ভাপ নিলে ভাল বোধ হয়। উপকার বেশি পেতে হলে গরম পানিতে কিছু ফিটকিরি টুকরা দিয়ে গরম ভাপ নিলে নাক বন্ধ হওয়া কমে যায়।
# সরিষার তেল শরীর গরম রাখে যা ঠাণ্ডা লাগার প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে।
# শীতে পানি খাওয়া কম হয়। যে কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। সেই জন্য পানি জাতীয় গরম খাবার বেশি খেতে হয়।
# শীতকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা বেশি প্রয়োজন। শীতে ধুলাবালি বেশি থাকায় তাতে রোগ-জীবাণু বেশি থাকে এবং সেই কারণে অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে যত ঠাণ্ডায় পড়ুক না কেনো এই শীতে আপনিও সুস্থ থাকতে পারবেন।

Leave a Reply