কেজি স্কুলের ডিজিটাল পদ্ধতির উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার কেজি এন্ড মডেল হাই স্কুলে গতকাল এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলার প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতির উদ্বোধন ও এই পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: রুহুল আমিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অত্র বিদ্যালয় তথা জেলার জন্য ডিজিটাল পদ্বতি একটি মাইলফলক। বর্তমান বিশ্বে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এই পদ্বতির কোন বিকল্প নেই।
তিনি ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্য বলেন, সবাইকে সময়ের গুরুত্ব দিতে হবে। যারা সময়কে গুরুত্ব দিয়েছে তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। তিনি ছাত্রদের ইভটিজিং থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করেন। অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি আরো বেশি সতেচন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সেলিমা আলম শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আমরা আজ নতুন দিগন্তের সূচনা করছি।
ককসবাজারের আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির অনেক কিছুর মধ্যে আমরা প্রথম শুরু করেছি। আর তার মধ্যে ডিজিটাল পদ্বতি আর একটি। তার আগে সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের গালর্স গাইড ও স্কাউটস দলের সদস্যদের সমন্বয়ে গার্ড অব অনার ও লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয় জেলা প্রশাসককে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কবির আহমদ সওদাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহেরা বেগম,বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য দৈনিক বাঁকখালীর নির্বাহী সম্পাদক ও বিদ্যালয়ের আইসিটি কমিটির আহবায়ক ফজলুল কাদের চৌধুরী, পরিচালনা পরিষদ সদস্য ওমর সুলতান, এড. আবুল কালাম আজাদ, মো: শফিকুর রহমান, শাহিনুল হক মার্শাল।
ফলাফল প্রকাশের সাথে-সাথে মোবাইলে ম্যাসেজ পাওয়া ষ্ট্যাডার্ট থ্রি থেকে ষ্ট্যাডার্ট ফোরে প্রথম হওয়া স্নেহা নন্দীর পিতা সনজিব নন্দী, মারিয়া কিবতিয়ার পিতা আজিম উদ্দিন, কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার মুমিনুল ইসলাম মঞ্চে এসে তাদের অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, সত্যিই আমরা এই ধরনের একটি বিদ্যালয় চেয়েছিলাম। ডিজিটাল পদ্ধতি আমাদের সন্তানদের পড়ালেখার মান আরো অনেকদূও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রধান অতিথি যখন ডিজিটাল পদ্বতির উদ্বোধন ঘোষনা করে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন তখন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন-বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্লব কান্তি দে ও আইরিন পারভিন লাইজু। এ সময় অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন। আইটি সহযোগিতায় ছিলেন-সফটওয়ার ফার্ম এআইটি এর পক্ষে নাজমুল করিম ফারুক ও রিফাত জহির।