‘নির্বাচন নিয়ে নজিরবিহীন তামাশা হচ্ছে’

Tweet

দৈনন্দিন ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাফর-মসিহ) কাজী জাফর আহমদ বলেছেন, দেশে নির্বাচনের ১৫১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্র্বাচিত হয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নির্বাচনের নজির আছে কিনা আমার জানা নেই। শেখ হাসিনার এই শাসনামলের যে প্রশাসন তাকে ইতিহাস একদিন পাগলের প্রশাসন হিসেবে অভিহিত করবে। উনিশ শতকে বৃটেনের এমন নজির উদ্ধৃত করে গতকাল  দুপুর ১২টার দিকে গুলশানের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ।  তিনি বলেন, বিরোধী দলকে জেতানোর জন্য সরকার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে একদিকে করছে তামাশা। অন্যদিকে চলছে ভয়াবহ ঘটনা। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। প্রতিরোধের বহ্নিশিখা দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। রাস্তা, কালভার্ট, পুল কেটে ফেলা হচ্ছে। ২ মাস ধরে রাজধানী ঢাকা অবরুদ্ধ, সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। সরকার এখন শুধুমাত্র ঢাকার সরকার হয়ে গেছে। পিপলস রিপাবলিক অব ঢাকা। পতনের পাশাপাশি পচনও শুরু হয়েছে। অবস্থা এমন হবে এমপিরা বোরকা না পরে বাইরে বের হতে পারবেন না। কাজী জাফর বলেন, এই সরকারকে যারা সহযোগিতা করছে তারা কেউই বাংলার মাটিতে এই নির্বাচন করতে পারবে না। যারা এই নির্বাচনের কল্পনা করছে তাদের আদালতই রংহেডেড বলেছেন। তাই রাজনীতিতে এখন চলছে  প্রহসন।  আন্দোলনও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। কাজী জাফর বলেন, পরিস্থিতি যেভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে, তাতে রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। এমন গুঞ্জন চলছে। বর্তমান পরিস্থিতি গুঞ্জনকেই জোরালো করছে। অসাংবিধানিক কিছুও ঘটতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে কাজী জাফর তফসিল স্থগিত ও নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতেই হবে। সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে প্রেসিডেন্টকে সব দলের সঙ্গে সংলাপ ডেকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানান কাজী জাফর আহমেদ। সংবাদ সম্মেলন থেকে ২০শে ডিসেম্বর বেলা ২টায় জাতীয় পার্টির কাউন্সিল অধিবেশনের ঘোষণা দেন তিনি। লেন, এরশাদের সঙ্গে আবারও একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনার চেয়ে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে এক যে হবো না সে কথা বলছি না। এরশাদের সঙ্গে আমাদের মৌলিক কিছু বিষয়ে পার্থক্য আছে। তা নির্বাচন নিয়ে নয়, পার্টিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। গঠনতন্ত্রের ৩৯ ধারা বাদ দেয়া। জাপায় এরশাদ-রওশন অবস্থান প্রশ্নে কাজী জাফর বলেন, বেগম রওশন এরশাদ আমার আপা হন। তাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। মৌলিক বিষয়ে কোন পার্থক্য দেখছি না। তবে এরশাদ সাহেবের পক্ষে অসম্ভব কিছুই না। তিনি দেশের সেরা খেলোয়াড়। তাদের কথার সঙ্গে কাজের মিল না হলে জাতি ব্যথিত হবে, কষ্ট পাবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা জামাল হায়দার, এসএমএম আলম, নওয়াব আলী আব্বাস খান এমপি, আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।

Leave a Reply