ভয়ঙ্কর ৫ টি কম্পিউটার ভাইরাস

Tweet

antivirusপ্রযুক্তি ডেস্ক:
স্ল্যামার : ২০০৩ সালে ওয়ার্মটি ছড়ানো শুরু হলে প্রতি ৮ দশমিক ৫ সেকেন্ডের আকারে দ্বিগুণ হতে থাকে। অনেক খ্যাতনামা কোম্পানিকে ধরাশায়ী করেছিল এই ভাইরাস, যার মধ্যে অন্যতম ব্যাংক অব আমেরিকার এটিএম সার্ভিস, ওয়াশিংটনের জরুরি সার্ভিস ৯১১, কন্টিনেন্টাল এয়ারলাইন্স, ওহিওর একটি পারমাণবিক কেন্দ্র ইত্যাদি। সব মিলিয়ে ২ লাখ কম্পিউটারে বিস্তার করে প্রায় ১২০ কোটি ডলারের ক্ষতি করেছিল এটি।

কোড রেড : উইন্ডোজ ২০০০ ও উইন্ডোজ এনটি চালিত কম্পিউটারগুলোর একটি দুর্বলতার সুযোগে এ ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করে ২০০১ সালে। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটসহ বেশ কিছু সাইটকে অকেজো করে দেয় ভাইরাসটি। এটি একসঙ্গে ১০০টি আইপি অ্যাড্রেস চেক করে তার পর উইন্ডোজ পিসি পেলেই ঢুকে পড়ত। প্রায় এক লাখ পিসিকে ক্ষতিকারক এ ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৬০ কোটি ডলারের ক্ষতি করেছিল।

আই লাভ ইউ : এটি ছড়াতো ই-মেইলের মাধ্যমে। ইনবক্সে নিরীহ চেহারার ‘আই লাভ ইউ’ নামে একটি ই-মেইল আসত, যেটি ওপেন করলেই কম্পিউটারে ঢুকে পড়ত ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। ইউজার ইমেজ ফাইলগুলো নষ্ট করার পাশাপাশি পাসওয়ার্ড চুরি করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, কোনো কম্পিউটারে ঢুকে পড়ার পর উইন্ডোজের অ্যাড্রেস বুক থেকে আরো ৫০ জনকে মেইল পাঠাত এটি। ২০০০ সালে প্রায় ৫ লাখ পিসিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এটি, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৫০০ কোটি ডলার।

এসওবিজি ডটএফ : ২০০৩ সালে ছড়িয়ে পড়া ট্রোজান গোত্রের এ ওয়ার্মটি কোনো কম্পিউটারে ঢুকে পড়ার পর নিজের ‘বংশবৃদ্ধি’ করতে পারত। এটিও কম্পিউটার আক্রমণ করত ই-মেইলের মাধ্যমে। এর পর মুহূর্তের মধ্যে অগণিত বাল্ক মেইলে চলে যেত ব্যবহারকারীর কন্ট্যাক্টে থাকা অন্য ই-মেইলগুলোতে। ওয়াশিংটন ডিসির কম্পিউটার ট্রাফিক পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল ভাইরাসটি। প্রায় ২০ লাখ ইউজারের সর্বনাশ করে এটি। সব মিলিয়ে ক্ষতি হয় প্রায় ৩৭ হাজার কোটি ডলার।

মাইডুম : এ ওয়ার্মটি একটি ফরোয়ার্ড করা ই-মেইলের রূপে ছড়াত। এ যাবত কালের অন্যতম ভয়াবহ ভাইরাস। কম্পিউটারে ঢোকার পর ব্যবহারকারীর আউটলুক অ্যাড্রেস বুকে ঢুকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করাই এর মূল কাজ। পাশাপাশি অন্যদের ঠিকানাতেও নিজেকে ছড়িয়ে দিত। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি প্রায় ২০ লাখ পিসিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ক্ষতি করে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি ডলার।

Leave a Reply