শহরে শিবির-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত-১০

Tweet

জেলা পরিষদে ককটেল নিক্ষেপ
cox police actionনিজস্ব প্রতিবেদক:
১৮ দলীয় জোটের অবরোধের চতুর্থ দিনে কক্সবাজার শহরে শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জামায়াত-শিবির কর্মী আহত হয়েছে।  তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে শহরের কালুর দোকন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে কক্সবাজার জেলা পরিষদে ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধকালে জামায়াত-শিবিরের একটি মিছিল হাসপাতাল সড়ক হয়ে মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে কালুর দোকান এলাকায় পৌঁছে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুঁড়ে। এর পর পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশের ছুঁড়া টিয়ারশের ও ফাঁকা গুলিতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, শিবির কর্মীরা অবরোধের নামে নাশকতার চেষ্টা করে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুঁড়ে। তাদের ছত্র ভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এদিকে জেলা পরিষদের সামনে দূর্বৃত্তরা ককটেল ফাটিয়েছে জানা গেছে। একের পর এক দু’টি বিষ্পোরনের বিকট শব্দে সর্বত্রে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে জেলা পরিষদের পশ্চিম পাশের গেইটের সামনে মোটর সাইকেলরোহী কয়েকজন দূর্বৃত্ত ককটেল বিষ্পোরনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনার খবর পেয়ে সদর মডেল থানার ওসি জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শীরা ককটেল বিষ্পোরনের বিষ্পোরনের কথা বললে তার কোন আলামত পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন ওসি জসিম উদ্দিন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শেফায়েত জানান, জেলা পরিষদের পশ্চিম পাশের সড়কে বিকট শব্দ শুনা গেছে বলে পরিদর্শনকালে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে কোন কিছুর বিষ্পোরনের আলামত পাওয়া না যাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা বলেও দাবি করেছেন তিনি। এদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের কেয়ার টেকার মো: ইসহাক জানান, রাত ৯টার পর জেলা পরিষদকে লক্ষ্য করে পশ্চিম পাশের ফটকে একে একে ২টি ককটেল ফাটিয়ে কলাতলীর দিকে দ্রুত পালিয়ে যায় মোটর সাইকেলরোহী কয়েকজন যুবক। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক খোঁজ খবর নেয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে অনেকের ধারণা অন্যান্য স্থানের ন্যায় জামায়াত-শিবির কর্মীরাই ককটেল বিষ্পোরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।

Leave a Reply