বাজারে শীতকালীন সবজি

Tweet

cox big bazarশাহ নিয়াজ:
শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হলেও বাজারে এর মজুদ কম। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবীতে ১৮ দলীয় জোটের টানা ৪৮ ঘন্টার অবরোধের কারণে বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে পারছেনা। যার কারণে বাজারে শীতকালীন সবজির মজুদ কম, তবে দাম চড়া। অবরোধের কারণে পরিবহন বাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকাররা আগের মজুদ করা সবজি বিক্রি করছে।
কিন্তু কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় অন্য বছরের তুলনায় এই বছরে সবজি উৎপাদন অনেক বেশী হয়েছে।
বাজারে শীত কালীন সবজি মজুদ কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন, উৎপাদিত সবজির বেশীরভাগ ট্রাক ভর্তি করে ঢাকা, চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। মজুদ কম হলেও ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে আছে মূল্য। এছাড়া মসলার বাজারে পিয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসলেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে রসুনের। প্রতিটি মুদির দোকানে মূল্য তালিকা দেওয়ার কথা থাকলেও কোন দোকানে তা লক্ষ্য করা যায়নি। এ ব্যাপারে ভোক্তারা বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা হলে কিছুদিন দেকানীরা মূল্য তালিকা দেয়।
গতকাল বুধবার শহরের বড়বাজার, কালুরদোকান, বাহারছড়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাচামরিচ এবং বাধাকপির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যান্য শাক-সবজির মূল্য স্থিতিশীল আছে। দাম বেড়ে কাচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৯০ টাকায় ও বাধাকপি কেজিতে ৪৫-৫০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে কাচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ কেজিতে ও বাধাকপি ছিল কেজিতে ৩৫ টাকায়। এছাড়া নতুন উৎপাদিত দেশী জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫০ টাকায়। দেশী আলু কেজিতে ২৮ টাকায়, ললিতা আলু কেজিতে ২৪ টাকায়, বেগুন কেজিতে ৩৫-৪০ টাকায়, ফুল কপি কেজিতে ৪৫ টাকায়, মূলা কেজিতে ২৫-৩০ টাকায়, কাচা পেপে কেজিতে ১৫-২০ টাকায়, বরবটি কেজিতে ৩০-৪০ টাকায়, করলা কেজিতে ৫০ টাকায়, বরবটি কেজিতে ৩০-৩৫ টাকায়, চিচিঙ্গা কেজিতে ৩৫-৪০ টাকায়, শিম কেজিতে ৫০-৬০ টাকায়, টমেটো কেজিতে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজিতে ৩৫ টাকায়, ঢেড়স কেজিতে ৪০ টাকায়, লাউ কেজিতে ৩০ টাকায়, শসা ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা শাফাকাত জানান, শীতকালীন সবজি বাজারে আসার কারণে দ্রব্যমূল্য অন্য সময়ের তুলনায় কম। যদি বিরোধী দলের অবরোধ না থাকত মূল্য আরও নাগালের মধ্যে থাকত।
সবজি বিক্রেতা আলী আহম্মদ বলেন, অবরোধের কারণে বাজারে সবজির মজুদ কম। তারপরেও কাচা মরিচ এবং বাধাকপির মূল্য ছাড়া বাকী সবজির মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
পিয়াজ কেজি প্রতি কমে ৬০ টাকায়, শুকনা মরিচ জাত ভেদে ১২০ কেজিতে টাকা ও ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হলুদ কেজিতে ৮০ টাকায়, ধনিয়া কেজিতে ৭০ টাকায়, আদা ৬০ টাকা, রসুন কেজি প্রতি ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ৯০-১২০ টাকায় ও মসুর ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রয়লার মুরগী কেজিতে ১২০ টাকা, লেয়ার মুরগী ১৫০ টাকা, দেশী মুরগী কেজি প্রতি ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ও ছাগলের মাংস পৌরসভা নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply