উখিয়ায় ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগার নির্মাণ কাজে অনিয়ম

Tweet

ukhiya primary toilateকমরুদ্দিন মুকুল, উখিয়া :
উখিয়ায় ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্মিত শৌচাগার নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পিইডিপি থ্রী প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন (ওয়াস ব্লকের) সিডিউল বহির্ভূত নিুমানের শেফটি ট্যাংক ভেঙ্গে ছাত্র-ছাত্রী হতাহত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার-বার বিধি নিষেধ আরোপ করা স্বত্বেও কাজের গুণগত মানের উন্নয়ন না করে দায়িত্বরত ঠিকাদারের একগুয়েমি দায়সারা নির্মাণ কাজ নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গতকাল বুধবার উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন শৌচাগার প্রত্যক্ষ করে দেখা যায়, ৫ ইঞ্চি ওয়াল দিয়ে শেফটি ট্যাংক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সময় ঠিকাদার না থাকায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার হারুনুর রশিদের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শেফটি ট্যাংকের উপরিভাগের স্ল্যাপ নির্মাণ করা হয়েছে দায়সারাভাবে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অসাবধানতা বশত: শেফটি ট্যাংকের উপরে উঠলে বা চলাফেরা করলে হতাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে গুণগত মানসম্পন্ন স্ল্যাপ ও শেফটি ট্যাংক পূণ:নির্মাণ করতে বলা হয়েছে। অথচ ওই ঠিকাদার তা না করে আগের নিয়মে তড়িগড়ি করে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথকভাবে শৌচাগার নির্মাণের ধারাবাহিকতায় প্রথম পর্যায়ে ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলছে।
এগুলো হচ্ছে-উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইনানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরিচ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও থাইংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৫টি বিদ্যালয়ে শৌচাগার নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়ে ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স উপ-ঠিকাদার দিয়ে গত এক মাস আগে থেকে কাজ শুরু করেন।
উপরোক্ত বিদ্যালয়গুলোতে নির্মাণ কাজের ব্যাপক অভিযোগ এনে উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলম কন্ট্রাক্টর জেলা প্রশাসক মো: রুহুল আমিনকে অবহিত করলে তিনি গত ২১ নভেম্বর উখিয়ায় চলমান জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে উখিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলামকে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম জানান, নির্মাণ কাজে অনিয়ম করার কোন প্রশ্নই আসে না। প্রয়োজনবোধে তিনি নিজেই সরেজমিন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বস্থ করেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply