মিয়ানমারের কাঠ বোঝাই ট্রলারসহ ১০ মাঝি-মাল্লা আটক
আবদুল্লাহ মনির, টেকনাফ:
টেকনাফ স্থল বন্দরে আসার পথে সেন্টমাটিন বঙ্গোপসাগরের অদূরে বিপুল পরিমান মিয়ানমার কাঠ বোঝাই ট্রলারসহ ১০ মাঝি-মাল্লা আটক করেছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী। ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে সেন্টমাটিনের অদুরে বাংলাদেশ টহলরত নৌ-বাহিনীর জাহাজ (তুরাগ) এর লেঃ আজিমের নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে হানা দিয়ে ১১ হাজার ঘন ফুট কাঠ বোঝাই ট্রলারসহ মিয়ানমার ১০ রাখাইন মাঝি-মাল্লাকে আটক করে। উদ্ধারকৃত কাঠ ও ট্রলারে মূল্য ১৩ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নৌ- বাহিনীর অপারেশন কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান, টহলরত অবস্থায় কাঠ বোঝায় ট্রলারের বৈধ কোন কাগজ পত্র না থাকায় আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর (তুরাগ) জাহাজের লেঃ মোঃ আজিম জানান, কাঠ বোঝাই ট্রলার সন্ধায় সাড়ে ৬ টায় টেকনাফ শুল্ক গোদামে জমা দিয়ে আটক মিয়ানমার ১০ রাখাইন নাগরিককে থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে আমদানী কারক মেসার্স বিছমিল্লাহ রাইচ মিল এর প্রোঃ মোহাম্মদ হাফেজ জানান, বন্দর প্রতিষ্টা হওয়ার পর থেকে আমরা মিয়ানমার থেকে কাঠ আমদানী করে আসছি। আটক কাঠের জন্য সকালে স্থলবন্দর ও কাষ্টমসে আইজিএম জমা দেওয়া হয়েছে। তার পরও মিয়ানমার থেকে আসার পথে কাঠ বোঝাই ট্রলারটি নৌ-বাহিনী আটক করেছে।
জানাযায়, কাঠ বোঝায় ট্রলারটি টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানী কারক মোঃ হাফেজের কাছে আসছিল। কাঠ ও ট্রলারসহ মিয়ানমার মাঝি-মাল্লাদের আটক করায় বন্দর ব্যাবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। প্রতিনিয়ত মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থল বন্দরে কাঠসহ বিভিন্ন পন্য বোঝায় ট্রলার আমদানী হয়ে থাকে। আমদানীকৃত কাঠ যদি ছেড়ে দেওয়া না হয় তাহলে মিয়ানমারের সাথে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে টেকনাফ স্থল বন্দ শুল্ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, মিয়ানমার থেকে আমদানীকৃত একটি কাঠের আইজিএম এর চালান জমা দেওয়া হয়েছে। পরে জানতে পারি এ ট্রলারটি নৌ বাহিনী আটক করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ বন্দর দিয়ে কাঠ আমদানী হয়ে আচেছ। হঠাৎ করে কাঠ জব্দ করা হলে বন্দরের ব্যবসা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারী কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকার কথা জানিয়েছেন।