ফৌজদারী অপরাধের বিচার

Tweet

Fozdariমানবাধিকার ডেস্ক:
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিচার যে আদালতে করা হয় তাকে ফৌজদারী আদালত বলা হয়। বিচার করার এখতিয়ার অনুযায়ী পাঁচ ধরনের ফৌজদারী আদালত আছে।
এগুলো হচ্ছে:
দায়রা আদালত
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
https://soinslherbier.com/acheter-du-stromectol/> প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট
দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট
তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট
এ আদালতগুলোর মধ্যে দায়রা আদালত সর্বোচ্চ এখতিয়ার সম্পন্ন আর তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সর্বনিম্ন এখতিয়ার সম্পন্ন।
যেহেতু ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয় তাই এ আদালতকে ফৌজদারী আদালত বলা হয়।
আইনানুযায়ী প্রত্যেক দায়রা বিভাগের (এখতিয়ারভুক্ত এলাকা) জন্য একটি দায়রা আদালত আছে। দায়রা বিভাগ বলতে দেশের প্রশাসনিক বিভাগ বোঝায় না বরং সরকার নির্ধারিত এখতিয়ারভূক্ত এলাকাকে দায়রা বিভাগ বলা হয়। বর্তমানে দেশে প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি দায়রা আদালত আছে। জেলা পর্যায়ের আদালতগুলোতে নিয়োগকৃত বিচারককে দায়রা জজ বলে আর মহানগরগুলোতে দায়িত্বরত বিচারককে মহানগর দায়রা জজ বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বলে। ঢাকাসহ অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে নিয়োগকৃত ম্যাজিস্ট্রেটকে মেট্রাপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বলে।
প্রয়োজনের তাগিদে একটি দায়রা বিভাগের বিচারক অন্য একটি দায়রা বিভাগের অতিরিক্ত দায়রা জজ হিসেবেও নিযুক্ত হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে তিনি যেকোনো একটি দায়রা বিভাগে বসেই বিচার সম্পন্ন করতে পারেন। এজন্য তাকে দুটো পৃথক আদালতে বসার প্রয়োজন নেই। মহানগর এলাকার বাইরে প্রত্যেক জেলায় একজন করে প্রথম শ্রেণীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন। তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচিত। সরকার কোনো প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বা যুগ্ম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে। এরকম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা যুগ্ম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমান ক্ষমতা সম্পন্ন (এখতিয়ার সম্পন্ন) হবেন। এবং তারা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনস্ত হিসেবে হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ফৌজদারী কার্যবিধির ১২ ধারা অনুযায়ী, সরকার মহানগর এলাকার বাইরে কোনো জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও যেকোনো সংখ্যক ব্যক্তিকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দান করতে পারেন।  আইনানুযায়ী তাদের ক্ষমতা বা এখতিয়ারও সুনির্দিষ্ট করা আছে। সাধারণত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাদের (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট) এখতিয়ারভুক্ত এলাকা নির্ধারণ করে থাকেন।
কোনো বিশেষ ধরনের মামলা অথবা এক বা একাধিক বিশেষ শ্রেণীর মামলা অথবা মহানগরী এলাকার বাইরে কোনো ধরনের মামলা পরিচালনার জন্য সরকার বিশেষ বিচারক বা ‍Special Magistrate নিয়োগ করতে পারে। Special Magistrate-রা কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বা বিশেষ শর্তসাপেক্ষেও  নিযুক্ত হতে পারেন।
কাজেই মামলা করার আগে জেনে নিন কোন আদালতে মামলা দায়ের করবেন। আর মামলা করার প্রয়োজন হলে একজন ভালো আইনজীবী শরণাপন্ন হয়ে মামলা করুন।

Leave a Reply