পারিবারিক সম্পদ ও ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব

Tweet

sampadআইন ও মানবাধিকার ডেস্ক:
একটি মুসলমান পরিবারের সদস্যরা একান্নবর্তী অবস্থায় জীবনযাপন করলেই সে পরিবারটিকে যৌথ পরিবার বলা চলে না। হিন্দু আইনে যদিও এরকম পরিবারকে যৌথ পরিবার বলা হয়। একটি পরিবারের কতিপয় সদস্য একান্নভুক্ত জীবনযাপনকালে তাদের নিজ নিজ অর্জিত সম্পত্তি পরিবারের সবার কল্যাণের জন্য অর্জিত হয়েছ বলে গণ্য হবে না।
কিন্তু পরিবারটি একান্নবর্তী থাকাকালে ঐ পরিবার পরিচালনার দায়িত্বে নিযোজিত সদস্যের নামে সম্পত্তি অর্জিত হয়ে থাকলে যদি বিষয়টি এমন হয় যে, উক্ত সম্পত্তি ঐ পরিবারের সব সদস্যদের সম্মিলিতভাবে দখলভূক্ত রয়েছে, তবে উক্ত সম্পত্তি পরিবারের পরিচালনাকারীর একক অর্জিত সম্পত্তি না হয়ে বরং পরিবারের যৌথ সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। যদি কোনো মুসলমানের মৃত্যুর তার সাবালক ছেলেরা বাবার ব্যবসা চালিয়ে যায় এবং ব্যবসাটিতে বাবার সম্পদ নিয়োজিত থাকে, তবে ব্যবসায় উপার্জিত অর্থ সম্পর্কে মৃতের অন্যান্য ওয়ারিশদেরকে জবাবদিহি করতে তারা বাধ্য থাকবে।
যদি ঐ ছেলেরা মৃত্যুর পর তাদের পুত্রগণ অথবা অন্যান্য ওয়ারীশরা উক্ত ব্যবসা চালিয়ে যায়, তবে সেভাবে তারাও জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। একটি মুসলমান পরিবারের সদস্যরা  যৌথভাবে একটি ব্যবসা পরিচালনা করলে হিন্দু আইনের মতো তা যৌথ পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হবে না।
বাবার ব্যবসায় সাহায্যকারী ছেলে  তার প্রতিনিধি, অংশীদার না। এক্ষেত্রে কোনো অংশীদারী চু্ক্তি না থাকলে তাকে উক্ত ব্যবসার অংশীদার বলা যাবে না। একজন নাবালক ব্যবসার  সুবিধাদি পাবার অধিকার অর্জন করতে পারে। কিন্ত তার সাবালক ভাইদের পরিচালিত ব্যবসাটি চলমান অবস্থায় সাবালক ভাইদের সাথে কোনো বন্ধকী দলিলে উক্ত নাবালক স্বাক্ষর করলেও তার কোনো দায়-দায়িত্ব নাবলকের উপর বর্তায় না।
মুসলমান পরিবারের ব্যবসা পরিচালনাকারীরা পরিবারের নাবালক সদস্যদের ওপর কোনো দায়-দায়িত্ব চাপাবার অধিকার রাখে না।

Leave a Reply